বন্ধ্যাত্বের কারণ – কেন বাড়ছে বন্ধ্যাত্ব?

দীর্ঘ সময় কোন ধরণের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ছাড়া, সাধারণত এক বছর বা তার বেশি সময় ধরে চেষ্টার পরও গর্ভধারণে ব্যর্থ হলে তাকে ইনফার্টিলিটি বা বন্ধ্যাত্ব হিসেবে ধরা হয় ।

বন্ধ্যাত্বের কারণঃ
একজন প্রাপ্ত বয়স্ক নারীর ডিম্বাশয় থেকে প্রতি মাসে একটি করে ডিম্বাণু নির্গত হয় । যদিও একজন নারী ৪৫ বছর বয়স পর্যন্ত প্রজননে সক্ষম হিসেব ধরা হয়, তবে ৩৫ বছরের পর থেকে প্রজনন ক্ষমতা কমতে থাকে । প্রজনন বয়সের শেষের দিকে ডিম্বাণু নিঃসরণ প্রতি মাসে নাও হতে পারে ।

নারীর বন্ধ্যাত্বের কারণঃ
১. ডিম্বাশয় থেকে ওভাম বা ডিম নিঃসরণ না হওয়া।
২. কিছু হরমোন যেমন প্রোলাক্টিন, থাইরয়েড হরমোন ও অন্যান্য হরমোনের অস্বাভাবিক মাত্রায় নিঃসরণ ।
৩. জরায়ুর টিউমার যেমন ফাইব্রয়েড বা পলিপ, এডিনোমায়োসিস হলে ।
৪. এন্ডোমেট্রিওসিস বন্ধ্যাত্বের একটি কমন কারণ । মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, পেটে ব্যথা ইত্যাদি এ রোগের কমন লক্ষণ।
৫. জরায়ুতে ইনফেকশন, ডিম্বনালি বন্ধ থাকলে
৬. পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম
৭. অতিরিক্ত ওজন হলে
৮. দীর্ঘমেয়াদী শারীরিক অসুস্থতা যেমন অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, কিডনী সমস্যা ইত্যাদি থাকলে
৯. জিনগত সমস্যা
১০. অতিরিক্ত মানসিক চাপ, বিষণ্ণতা কিংবা দুশ্চিন্তা।
১১. অতিরিক্ত ধূমপান বা মদ্যপান করলে।

পুরুষের বন্ধ্যাত্বের কারণঃ
১. শুক্রাণু কম উৎপন্ন হওয়া
২. শুক্রাণু বা বীর্যের অস্বাভাবিক গঠনগত কারণ ও যথেষ্ট গতিশীল না হলে বন্ধ্যাত্ব হতে পারে
৩. শুক্রাণুর আকৃতি স্বাভাবিক না হলে
৪. কোন কারণে স্বাভাবিক শুক্রাণু তৈরি ব্যাহত হলে।
৫. যৌনবাহিত কোন রোগ থাকলে
৬. কোন সংক্রমণ কিংবা আঘাতের ফলে শুক্রাণু বের হওয়ার পথ বন্ধ হলে
৭. অতিরিক্ত মানসিক চাপ কিংবা দুশ্চিন্তা
৮. অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অতিরিক্ত মদ্যপান, ধূমপান, গাঁজা এবং মাদক সেবন
৯. ডায়াবেটিস অথবা থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে
১০. অতিরিক্ত ওজন হলে
এছাড়াও নারী পুরুষের বন্ধ্যাত্বের আরও অসংখ্য কারণ রয়েছে।

চিকিৎসাঃ
বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসার জন্য প্রথমে এর কারণ উদঘাটন করতে হয়। কারণের উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা শুরু করতে হয়। যে কারণে ইনফার্টিলিটি, সে কারণটির উপর গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসা শুরু করতে হয়। যদিও অনেক ক্ষেত্রেই বন্ধ্যাত্বের কারণ অজানা থাকে।

বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। ধাপে ধাপে এর চিকিৎসা করা হয়। স্বামী স্ত্রী উভয়ের হরমোন, রক্ত, স্বামীর বীর্য, স্ত্রীর ওভোলেশন টেস্ট, ল্যাপারোস্কপি, হিস্টেরোস্কোপি, হিস্টেরোসালফিংগোগ্রাফি সহ বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে হয়। এছাড়াও সহবাসের উপযুক্ত সময়, নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়। যেদিন মাসিক হবে, সেদিনকে প্রথম দিন ধরে মাসিকের দশম থেকে ২০তম দিনকে ফার্টিলিটি পিরিয়ড বলে। এসময় গর্ভধারণের জন্য উপযুক্ত এবং সপ্তাহে অন্তত দুই তিনবার শারীরিক মিলন হতে হবে। বর্তমানে আমাদের দেশে বন্ধ্যাত্ব বা ইনফার্টিলিটি চিকিৎসা অনেক এগিয়ে গেছে। তাই বন্ধ্যাত্ব সমস্যায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ এবং সে অনুযায়ী চললে সাফল্য আসতে পারে।

সন্তান না হওয়ার কারণে অনেক দম্পতি মানসিক চাপে ভুগেন। তাছাড়া পরিবার কিংবা সমাজ এ বিষয়ে নিঃসন্তান দম্পতিকে বিব্রতকর প্রশ্নের সম্মুখীন করেন। এ ধরণের মানসিক চাপকে দূরে রেখে স্বামী স্ত্রী উভয়কে দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে হবে। মানসিক চাপ সর্বক্ষেত্রে সবার জন্য ক্ষতিকর।

ডাক্তার

ডাঃ সাকেরা আহমেদ

সার্জারী

ডাঃ বেগম তাহমিনা সুলতানা (লাবনী)

প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন

আপনি কি হেপাটাইটিস বি পজিটিভ?

কি রোগের জন্য কোন ডাক্তার দেখাবেন?

কি রোগের জন্য কোন ডাক্তার দেখাবেন?

Chittagong Medical College & Hospital

Chittagong Medical College & Hospital

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

Chittagong Eye Infirmary & Training Complex

Chittagong Eye Infirmary & Training Complex

চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কমপ্লেক্স

Chevron

Chevron Eye Hospital, Chittagong

শেভরন আই হসপিটাল

Chevron

Chevron Clinical Laboratory

শেভরণ ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরী

cmosh

Chattogram Maa-O-Shishu Hospital

চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল

Diabetic Hospital

Chattogram Diabetic General Hospital

চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

Bangladesh Eye Hospital

Bangladesh Eye Hospital, Chittagong

বাংলাদেশ আই হসপিটাল, চট্টগ্রাম

Al Amin Hospital

Al Amin Hospital & Diagnostic Center, Chittagong

আল-আমীন হাসপাতাল এণ্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টার

Evercare Hospital Chittagong

Hospitals in Chittagong

চট্টগ্রামের হাসপাতাল সমূহ

ডাক্তার

ডাঃ মীর মোশারফ হোসেন

নবজাতক ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ

ডাক্তার

ডাঃ জি এম তৈয়ব আলী

নবজাতক ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ

ডাক্তার

ডাঃ গুলশান আরা বেগম (মুক্তা)

নবজাতক ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ

ডাক্তার

ডাঃ ফাতেমা আক্তার শিল্পি

প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ

ডাক্তার

ডাঃ ফাহমিদা শিরীন (পাপড়ি)

প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ

ডাক্তার

ডাঃ তাসলিমা বেগম

গাইনি ও ইনফার্টিলিটি (বন্ধ্যাত্ব) বিশেষজ্ঞ

ডাক্তার

ডাঃ মেরিনা আরজুমান্দ

কিডনি বিশেষজ্ঞ